সাংবাদিক

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। একজন সাংবাদিককে সকল পেশার মানুষ অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। এ পেশার লোকজনকে অনেকেই জাতির বিবেক বলে থাকেন। প্রকৃত সাংবাদিকের কোন দেশ কাল পাত্র নেই। তারা জগৎ সভার এক একজন পরীক্ষক ও নিরীক্ষক।


মিডিয়ায় আজকাল দেখা যায় বিভিন্ন এলাকায় ‘কিশোর গ্যাং’ গড়ে উঠেছে। বলতে কষ্টে হলেও দেখা যায় সাংবাদিকতা পেশায়ও আজকাল এক শ্রেণির গ্যাং তৈরি হয়েছে, তাহলো মুর্খ ও অশিক্ষিত একদল মানুষ এখন সাংবাদিক পেশায়। এরাও ‘কিশোর গ্যাংয়ে’র মত, দল বেঁধে প্রতিদিন ধান্দাবাজিতে মেতে ওঠেন। কথায় আছে ‘বাপে মরছে আন্ধারে, ছেলের নাম বিদ্যুৎ’। তেমনি মিডিয়া প্রকাশ ও প্রচারের খবর নাই তিনি বড় মাপের সাংবাদিক।

কুলি থেকে শুরু করে দিনমজুর, গরুর দালাল, থানার দালাল, জমির দালালসহ মূর্খ আর অশিক্ষিত এক শ্রেণির মানুষ আজকাল সাংবাদিক পরিচয় দেন। গাড়ির সামনে প্রেস লেখা স্টিকার লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়ান পুরো জেলা-উপজেলায়। অখ্যাত সব পত্রিকা-টিভির আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে বীরদর্পে ধান্দাবাজিতে মেতে উঠেছে তারা। এর পেছনে আমি মনে করি সিনিয়র ও শিক্ষিত সাংবাদিকদেরও দায় রয়েছে।

আমাদের সিরাজগঞ্জ জেলায় সাংবাদিক পরিচয়ধারী কিছু অসাংবাদিকের ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখলে লজ্জায় মাথা নিঁচু হয়ে যায়। এক লাইন স্ট্যাটাসের ৮০ ভাগই বানান ভুল থাকে। লিখতে গেলে আমারও ভুল হয়, তাই বলে ১০টি শব্দ লিখলে যদি ৮টা শব্দের বানান ভুল হয় সে কি করে সাংবাদিক হয়!

এসব অসাংবাদিক রোধে আমার মনে হয় এখন থেকেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে সিরাজগঞ্জ  জেলার সিনিয়র সাংবাদিকদেরই।

Comments